জয়া গোস্বামী
ঠুনকো অভিমান এখন আর আমি করি না,
কেন না এখন যে আমাকে আর মানায় না।
মনে আছে! মাছ লজেন্সের কথা শৈশবে খেতাম,
পয়সা পেলেই ছুটে দোকানে গিয়ে হাজির হতাম।
এখন দুপয়সার লজেন্স কিনতে বড্ড লজ্জা লাগে,
শৈশবের গণ্ডি পার করে বার্ধক্য এখন বাধ সাধে।
ইচ্ছেগুলো মনের ঘরে উঁকি দেয় আজ ভীষণ সন্তর্পণে,
শৈশবে থেকে কখন যে আমি বার্ধক্যের পথে পদার্পণে।
মনে আছে তখন কাঠি আইসক্রিম খেতাম দশ পয়সায়!
মায়ের থেকে যদি পাই দুপুরে থাকতাম সেই আশায়।
এখন কেন ইচ্ছেগুলো জং ধরে আছে পড়ে অবহেলায়,
পড়ন্ত গোধূলিতে কেন শৈশবের কথা লিখলাম অবেলায়।
অভিমান করি না কখনও নীল আকাশের সাথে,
বন্ধুদের সাথে খোলা আকাশের তলে থাকতাম মেতে।
কতদিন আকাশ দেখিনি আগের মতোন করে,
ফ্ল্যাটের দেওয়ালগুলো আমার চারপাশ রেখেছে ঘিরে।
শৈশবে কেন এসে,আবার চুপি চুপি আমাকেই ডাকে ,
যত রকমের মনের করুণ কথা শৈশবে কেন থাকে?
আমাদের কাছে বিকেল আসতো স্বর্গরথে চেপে,
বর্ষার দিনে গাইতাম সুরে সুর মিলিয়ে আয় বৃষ্টি ঝেঁপে।
শৈশবের কথা স্মৃতির বিজন ঘরে সুরক্ষিত আছে,
শৈশবের এক মুঠো দুষ্টুমির স্মৃতি আছে আমার কাছে।
শীতের সময়ে সবাই মিলে করতাম সবাই বনভোজন,
মনে আছে খুব শৈশবের চেনা মুখ বন্ধু ছিল আপনজন ।