ভোলার শশীভূষণে সড়ক দুর্ঘটনার নিহত শিশুর লাশ কাদায় পুতে রাখার অভিযোগে টমটম চালক আটক
ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে টমটমের নিচে চাপা পড়ে আবু সায়েদ (৯) নামের এক পথচারী শিশুর মৃত্যুর পর লাশ কাদা মাটিতে পুতে রাখার অভিযোগে পাওয়া গেছে টমটম চালকের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় শিশু আবু সাইদের পিতা বাকের সর্দার বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে শশীভূষণ থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার আসামী টমটম চালক রুহুল আমিন ওরফে কুন্টি (৩৫) কে আটক করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আসামী রুহুল আমিন কুন্টিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এর আগে গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডের চৌমুহনী-কলেরহাট সড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই এলাকার মো. বাকের সর্দারের ছেলে।
আটক টমটম চালক রুহুল আমিন উপজেলার আবদুল্লাপুর গ্রামের মৃত নজির মোল্লার ছেলে। সে শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডের চৌমুহনী এলাকায় শশুর বাড়িতে থাকেন।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার সকালে শিশু আবু সায়েদ বাড়ি থেকে বের হয়ে চৌমুহনীর দিকে আসেন। দীর্ঘ সময় শিশু আবু ছায়েদকে দেখতে না পেয়ে মা, বাবা ও আত্মীয় স্বজনরা চারদিকে খোঁজাখুজি শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে মাইকিং করা হয়। বিকাল বেলা শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড চৌমূহনী-কলেরহাট সড়কের পাশে একটি ডোবায় শিশুর জুতা পড়ে থাকতে দেখে আত্মীয় স্বজনেরা। পরে শিশুটির চাচী রেহানা বেগম ওই পানি ভর্তি ডোবায় তল্লাশি করতে নামলে শিশুর মরদেহ দেখতে পান। তাদের দাবী টমটম চালক রুহুল আমিন কুন্টি শিশু সায়েদকে চাপা দিয়ে হত্যার পর লাশ ডোবার কাদা মাটিতে পুতে রেখে পালিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডের চৌমূহনী-কলেরহাট সড়কের পাশে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি টমটম ডোবায় পড়ে যায়। তাৎক্ষনিক টমটম চালক রুহুল আমিন কুন্টি তার দূঘর্টনা কবলিত টমটমটি উদ্ধারের জন্য চৌমুহনী থেকে কিছু লোকজন নিয়ে সকাল ১১ টার দিকে ডোবা থেকে টমটমটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরে বিকাল ৪ টার দিকে ওই স্থানে ডোবায় নিখোঁজ শিশুর মরদেহ দেখে তারা থানা পুলিশকে খবর দেন। শশীভূষণ থানা পুলিশ নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। স্থানীয়দের ধারণা নিহত শিশু পথচারী ছিলেন। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারানো টমটমটি সড়কের পাশে থাকা শিশুটিকেসহ পানি ভর্তি ডোবায় পরে যায়। এতেই টমটমের নিচে চাপা পরেই শিশুটির মৃত্যু হতে পারে।
শশীভূষণ থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোলাইমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশু আবু সায়েদের পিতা মো. বাকের সর্দার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলার আসামী টমটম চালক রুহুল আমিককে আটক করেছে।