ভরবো মাছে মোদের দেশ গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন
তৌসিফ রেজা (বিশেষ প্রতিনিধি)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ – ২০২৪ উপলক্ষে মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি অর্জনে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় সৈয়দপুর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত বক্তব্য বলেন সৈয়দপুর সিনিয়র উপজেলা
মৎস্য অফিসার মোছা. মোস্তারিনা আফরোজ।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন সৈয়দপুর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা, সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু বিন আজাদ রতন, সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু, তোফাজ্জল হোসেন লুতু, মহসিন মিজান, আদর্শ মৎস্য চাষী মহিবুুল্লাহ বাদল প্রমুখ।
মতবিনিমিয় সভায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, মৎস্য চাষী, মৎস্যজীবী, শুকনো মাছ (শুটকি) ব্যবসায়ী ও জেলেরা উপস্থিত ছিলেন। সৈয়দপুর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোছা. মোস্তারিনা
আফরোজ জানান, ‘ভরবো মাছে মোদের দেশ গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারে ৩০ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ পালিত হচ্ছে। সপ্তাহটি উপলক্ষে গৃহিত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ফেস্টুন ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা,
বুধবার (৩১ জুলাই) মৎস্য সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন, র্যালি, আলোচনা সভা, সফল মৎস্যচাষীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, উপজেলা মৎস্য সম্পদের স্থায়ীত্বশীল এবং
সর্বোত্তম ব্যবহার বিষয়ে মতবিনিময়, পুকুর ও জলাশয়ে পানির ভৌত রাসায়নিক গুনাগুণ পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান, মৎস্য খাতের টেকসই উন্নয়ন নিয়ে তরুণদের ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময়সভা, মৎস্য বিষয়ে রচনা ও কুইজ
প্রতিযোগিতা,সুফলভোগীদের প্রশিক্ষণ ও উপকরণ বিতরণ এবং জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠান। মতবিনিময় সভায় আরো জানানো হয়, সৈয়দপুর উপজেলায় বছরে মাছের চাহিদা পাঁচ হাজার ২১২ দশমিক ৫৩ মেট্টিক টন। কিন্তু বর্তমানে মাছের উৎপাদন চার হাজার ৮৪৩ দশমকি ৭৩ মেট্টিক টন। বিগত সময়ে মাছের ঘাটতি ৯৬২ দশমকি ৫৫ মেট্টিক টন থাকলেও বর্তমানে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৩৬৮ দশমিক ৮০ মেট্টিক টন। এখানে চিকলী ও খড়খড়িয়া নামে দুইটি নদী রয়েছে। উপজেলায় ছয়টি মৎসজীবি
সমিতি, ১৬টি সরকারি পুকুর, ৩৫টি বাণিজ্যিক মৎস্য খামার রয়েছে। এছাড়াও দুইটি বিল নার্সারী ও একটি মৎস্য অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা, দুইটি প্রদর্শনী মৎস্য খামার স্থাপন হয়েছে। এখানে ৪০২জন জেলেকে পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। আর ৫২০জন মৎস্য চাষীকে প্রশিক্ষণ, নয়টি মৎস্য আইন বাস্তবায়ন ও ৩৫টি উদ্ধুদ্ধকরণ সভার
মাধ্যমে চাষীদের মৎস্য আগ্রহী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।