নিজস্ব প্রতিবেদক
শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কয়েকটি পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার কথা প্রকাশ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন এর নামে যে সমস্ত নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহিন। এলাকাবাসী আরও বলেন মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস তার নিজের ইউনিয়নের ২৭ টি গ্রামে ঘুরে ঘুরে গরিব অসহায় মানুষকে সেবা করে এসেছেন । ইউনিয়নের বিভিন্ন ভাতা সুষ্ঠু ভাবে দিয়েছেন অসহায় দরিদ্রমানুষের মাঝে।
এছাড়াও তিনি প্রতি বছর মসজিদ মাদ্রাসাসহ ধর্মীয়
উপসানালয়ে দিয়েছেন নিজের অর্থ গ্রামের ঈদগাহ ময়দানের কাজও করেছেন নিজ উদ্যোগে। এলাকায় মানুষের কাছে তিনি মানবিক চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত।
রাজিব হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ সেবা নিচ্ছেন। সকলের সাথে ভালো আচরণ করেন ও গরিব অসহায় মানুষের পাশে থেকে সেবা দিতেন ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস । দেশের ছাত্র-জনতার ধারণা বৈষম্য বিরোধী সমাজব্যবস্থা গড়তে কাজ করছেন জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান। ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা জনি হোসেন বলেন, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন একজন মানবিক মানুষ ছিলেন । ইউনিয়নের কোন গ্রামে কারো অসুস্থতার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন এবং কোন গরিব মেয়ে ছেলের টাকার অভাবে বিয়ে বন্ধ থাকলে বিয়ের সমস্ত খরচও তিনি দিতেন। দলবল নির্বিশেষে মানুষের সেবা করেন তিনি। সকল ধর্মের মানুষের পাশে থেকে সেবা করেছেন।
তিনি বকশিপুর রঘুনন্দনপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানের জন্য নিজের ৩১ শতাংশ জমি দান করেছেন। তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে এখন তার বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় আপোষহীন ছিলাম অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে আমি কঠোর অবস্থান নিয়েছি বর্তমান প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর ওইসব অপরাধীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু করেছেন। এলাকায় রাজত্ব কায়েম করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে একটি চক্র। রঘুনন্দপুর গ্রামের প্রতারক খাইরুল মোল্লা এলাকায় ইটের ব্যবসা করতো ইট বিক্রি কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইট দিতেন না, টাকা নিয়ে চেক দিয়েছে অনেককে। এলাকার মানুষের সাথে প্রতারনা করাই ছিলো খাইরুল মোল্লা, তার ভাই রিয়াজ মোল্লা ও মতিন মোল্লার প্রধান ব্যবসা। দীর্ঘদিন মানুষের সাথে প্রতারনা করার পর স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে
মামলা করছে সেই অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আমার নামে। সম্প্রতি অভিযোগ করা হয় সাবেক চেয়ারম্যানের ভয়ে গ্রামে আসতে পারেন না তারা। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া একটি ছবিতে দেখা যায় মফিজ উদ্দিনের সাথে বসে মোসলেম উদ্দিন আলোচনা করছে । এমন সব মিথ্যাচার শুরু করেছে স্থানীয় একটি চক্র। রানু, মোসলেম, সঞ্জীব, খাইরুল মোল্লা, মতিন মোল্লা, কাশেম,মনিরুল, আরজানসহ একটি চক্র এলাকার চাঁদাবাজি, দখলবাজি করতে না পেরে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেন মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস। তিনি এই চক্রটির বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।