তৌসিফ রেজা (বিশেষ প্রতিনিধি) :
রেলওয়ে কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা ও ওপেন লাইন শাখা যৌথভাবে ওই সমাবেশের আয়োজন করে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয় রেলওয়ে মুর্তজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বলেন বিআরইএল`র কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন বিআরইএল`র কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি সেলিম পাটোয়ারী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম।
অনুষ্ঠানে বিআরইএল সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান মন্ডলের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক মো.খায়রুল বাশারের সঞ্চালনায় বক্তব্য বলেন, সৈয়দপুর শহর জামায়াতের আমীর শরফুদ্দীন খানসহ অন্যান্য রেলওয়ে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ফ্যাসিষ্ট ও লুটেরা হাসিনা সরকারের আমলে দুর্নীতিতে ৪ বার চ্যাম্পিয়ান হওয়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর বাংলাদেশ রেলওয়েতে দলীয় দূর্নীতিবাজদের দিয়ে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। কালো বিড়াল খুঁজতে গিয়ে তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী এমপিরাই কালো বিড়ালে পরিণত হয়েছিল। তিনি বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাতেও অভাবনীয় দূর্নীতি করা হয়েছে। বিগত ১৭ বছরে দেশের বৃহৎ এই কারখানায় ন্যুনতম উন্নয়ন হয়নি। বরং উন্নয়নের নামে দলীয় নেতাকর্মীদের পকেট ভারী করা হয়েছে। তাদের দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় বিআরইএল ‘র নেতাকর্মীসহ দেশপ্রেমিক শ্রমিকরা তাদের বহুমুখী নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। সে সময় শ্রমিক নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলী ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রেও চরম বৈষম্য করা হয়েছে। অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের শেষ সঞ্চয় প্রাপ্তির সময়ও এফএস শাখার মাধ্যমে অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন সরকারী দলের শ্রমিক নেতারা, বলেন প্রধান অতিথি ‘,। তিনি বলেন এভাবে অমানবিক আচরণের মাধ্যমে শ্রমিক লীগের নেতারা আঙুল ফুলে বটগাছে পরিণত হয়েছে। আর সাধারণ শ্রমিক কর্মচারীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এখনও সেই বঞ্চনা থেকে মুক্তি মেলেনি।
আগামীর বাংলাদেশে যেন শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার সঠিকভাবে পায় সেজন্য ইসলামি শ্রমনীতির আলোকে সকল শিল্প কারখানা পরিচালনা করা প্রয়োজন। আর এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আন্দোলন ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান অতিথি মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শ্রমিকরা যদি সত্যিকার অর্থে অধিকার পেতে চায় তাহলে ইসলামি শ্রমনীতি বাস্তবায়নের জন্য বিআরইএল বা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাথে একিভুত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই। তাই সকল শ্রমিকের প্রতি সংগঠনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।