নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
গাজীপুরের কালিয়াকোর মৌচাক আন্দারমানিক পূর্বপাড়া হায়াতুল্লার মাঠে চলছে জমজমাট মেলা এদিকে নষ্ট হচ্ছে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের সহিংসতা জানালেন এলাকাবাসী।
কিভাবে মেলা চলছে এ বিষয়ে মেলা কমিটির পরিচালক বাবুল সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের ম্যানেজ করেই এই মেলা চালানো হচ্ছে।
সোমবার ২৯ (অক্টোবর) মেলায় সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় নাগরদোলা, দোলন নৌকা, চরকা, সহ আরো কয়েকটি খেলা ও বিভিন্ন দোকান পাট।
এ মেলায় পর্ষা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানতে চাইলে সজিব সরকার জানান, মেলা চলছে খুব ভালো লাগছে কিন্তু দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এ ধরনের মেলা না করাই ভালো। মেলায় যদি কোন ধরনের সহিংসতা ঘটে এর দায়ভার কে নেবে। মেলা দেখতে আসা মাসুদ রানা জানান, মেলা দেখতে এসে ভালই লাগছে কিন্তু নৌকায় উঠলে নিচ্ছে ৩০ টাকা টিকিট, চরকায় উঠলে জন প্রতি নিচ্ছে ৩০ টাকা টিকিট, নাগরদোলায় উঠলে জন প্রতি নিচ্ছে ৩০ টাকা টিকিট। বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে মেলায় না নিয়ে গেলে। এদিকে আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে বার্ষিক পরীক্ষা। বাচ্চাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে এই মেলার কারণে, এই সময় মেলাটি চালানো ঠিক হয়নি।
মেলা দেখতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, তিনি বলেন মেলা জমে উঠেছে কিন্তু এই মুহূর্তে এত বড় মেলা চলতে চলতে যদি দুই পক্ষের সহিংসতা ঘটে এই দায়ভার কে নেবে। সর্বোপরি এই মেলাটি এই মুহূর্তে না করাই ভালো।
সুশীল সমাজ বলছে, স্কুল ও মাদ্রাসার পরীক্ষা সামনে এই মুহূর্তে বাচ্চাদের নিয়ে লেখাপড়া বাদ দিয়ে মেলায় আসলে বেগ পোহাতে হচ্ছে অভিভাবকদের। অথচ এখনো কোন অফিস বা প্রতিষ্ঠানের বেতন পায়নি অভিভাবকরা। বাচ্চাদের কান্না দেখে তো অবশ্যই মেলায় নিয়ে আসতে হয় বাচ্চাদের এ সময় মেলাটি চালু করা উচিত হয়নি। এখন তো দেশের অবস্থা এমনিতেই খারাপ যদি কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে এই দায়ভার কে নেবে।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ রিয়াদ আহমেদের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আন্দারমানিক মাঠের মেলা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না, তবে মৌচাক ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম জানতে পারে তার সঙ্গে কথা বলে অবশ্যই আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।