সৈয়দপুরে দোকানের সার্টারের তালা কেটে নগদ ৮ লাখ টাকা চুরি
তৌসিফ রেজা সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
সৈয়দপুরে দোকানের সার্টারের তালা কেটে নগদ ৮ লাখ টাকা চুরি করেছে চোরেরা। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) গভীর রাত থেকে ভোরের যে কোন সময় শহরের ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র ও ব্যস্ততম সড়ক শহীদ জহুরুল হক রোডস্থ মেসার্স রহমত ট্রেডার্সে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সকালে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা বলছেন, চুরির রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ পাইকারি ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক রহমত উদ্দিন রাব্বি জানান, রাত সোয়া একটার সময় দোকান বন্ধ করে সকলে বাড়ি চলে যান। সকাল সাড়ে ৮ টাকা লোকমুখে জানতে পারেন তাঁর দোকানের সার্টারের তালা ভাঙ্গা থাকার বিষয়টি। তিনি সাথে সাথে দোকানে এসে দেখেন চোরেরা দোকানে রাখা ফাইল কেবিনেটটি নিয়ে গেছে। ফাইল কেবিনেটেই নগদ ৮ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, দোকানে লাগানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় (সিসি টিভি) দেখা যায়, মুখোশ পড়া চোরেরা দোকানে প্রবেশ করে দোকানের জিনিষপত্র তছনছ করে। পরে সেখানে রাখা ফাইল কেবিনেটটি নিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে দোকানের সার্টারের তালা ভেঙে দোকান থেকে টাকা চুরির সংবাদ পেয়ে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন থানা পুলিশ।
সেখানে বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অন্যান্য বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা। এসময় বিভিন্নজনের সাথে কথাও বলেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিন বলেন,চুরির রহস্য উদঘাটনে তদন্ত এবং জড়িতদের গ্রেফতারে ইতোমধ্যে পুলিশ কাজ করছে। তিনি বলেন চুরির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে যা যা করার, তাই করা হবে।
এদিকে শহরের ব্যবসা প্রসিদ্ধ প্রধান স্থান শহীদ জহুরুল হক সড়কে দোকানের সার্টারের তালা ভেঙে টাকা চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে চুরি আতঙ্ক শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা সদর পুলিশ ফাঁড়ির অদুরে চুরির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা সদর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের দায়িত্ব পালন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
উল্লেখ্য ইদানিং সৈয়দপুরে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। গত কয়েকদিনে শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে আগের মতো পুলিশের রাত্রীকালীন টহল দল থাকলেও দায়িত্ব পালনে দেখা যায় ঢিলেঢালা ভাব। শহরের বাজার ও পাড়া মহল্লাতেও তেমন দেখা মেলেনা তাদের। সচেতনমহল পুলিশের টহল বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।