সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
সৈয়দপুরে তাহেরীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর মানববন্ধন গাজীপুরের মৌচাকে ৭২ ঘন্টায় “শিহান” হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেফতার নুরুল হিকমাহ মাদরাসায় বিশিষ্টজনদের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সৈয়দপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করে জামায়াত সৈয়দপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান মহান আল্লাহ মদ ও মদের অর্জিত মূল্য হারাম করেছেন সোস এর উদ্যােগে বর্ণাঢ্য  র‍্যালি ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত পীরগঞ্জে পূবালী ব্যাংকের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)’র পবিত্র খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ও মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে হরিপুরে চরম দুর্দিনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বাঁশ মালী পরিবারের সদস্যরা 

প্রতিবেদক এর নাম / ১৪৯ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান সময় সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন

 

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি

 

চরম সংকটের মধ্যে দিনাতিপাত করছে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাঁশ মালী পরিবারগুলো। পরিবার পরিজন নিয়ে ২৫টি ভূমিহীন পরিবারের প্রায় শতাধিক মানুষ রয়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়। দিন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। বাঁশ মালী করে এক বেলা খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছেন এ সম্প্রদায়ের মানুষ জন। সরেজমিনে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বামুনদিঘীর পাড়ে এই পরিবারগুলোর বসবাস। ১৯৭৫ সাল থেকে এখানে তারা কুড়েঘর ও ছাপড়া বানিয়ে জরাজীর্ণ পরিবেশে দিনাতিপাত করছে। এই পরিবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর, যাদের বংশানুক্রমে পেশায় বাঁশ মালী। আর ৭টি পরিবার হচ্ছে আদিবাসী। কৃষিকাজ বা চাষাবাদের জন্য তাদের নিজস্ব কোনো জায়গা-জমি নেই। বাঁশ মালী, দিনমজুর আর শ্রমিকের কাজ করে চলে তাদের সংসারের ঘানি। পুকুর পাড়ে বসবাসকারী বিভোতি রানী (৫৫), সরলা দাস (৭০), বুধু হেমরম (৬০), লক্ষ্মী মারডি (৮০)সহ বেশ কয়েকজন নারী সাংবাদিকদেরকে বলেন, আমরা এখানে ৪৯ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। পেশায় আমরা বাঁশ মালী। হাটবাজার ও গৃহস্থের বাড়ি থেকে বাঁশ কিনে বাড়িতে কৃষিকাজের ব্যবহৃত টোকরি, কুলা, ঢাকি, ডালি, হাতপাখা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে যে টাকা পাই তা দিয়েই জীবিকা নির্বাহ করি। বর্তমানে প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের পণ্যের কদর কমে গেছে। বাঁশও পাওয়া যায় না তেমন আবার দামও বেশি। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, আমরা সরকারি সুযোগ-সুবিধাও তেমন পাই না। আমাদের খোঁজখবর কেউ রাখে না। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি ও জমি পাওয়ার জন্য আমরা ইউএনও স্যারের নিকট গিয়েছিলাম, কিন্তু আমরা বাড়ি পাইনি। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খাসজমি ও পুকুর পাড়ে যারা বসবাস করছিল, তারা সকলেই বাড়ি ও জমি পেলে আমরা কেন পাব না।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর